চীন-যুক্তরাষ্ট্র শুল্কযুদ্ধ অব্যাহত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দফায় দফায় শুল্কবৃদ্ধির বিপরীতে পাল্টা । গত সপ্তাহে ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা বেশিরভাগ পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ ন্যূনতম শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ওইদিন চীনের ওপর নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন তিনি যা পূর্বে আরোপিত ২০ শতাংশের সঙ্গে যোগ হয়ে ৫৪ শতাংশে দাঁড়ায়।
ট্রাম্পের ঘোষণার পরদিন বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) চীন এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ বাতিল করার আহ্বান জানায় এবং পরদিন শুক্রবার (৪ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। গত বুধবার (৯ এপ্রিল) বিশ্বের ৭৫টিরও বেশি দেশের ওপর আরোপ করা নতুন শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তবে চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক স্থগিত করেননি। বরং নতুন করে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেন তিনি। পরদিন বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করে, এর সঙ্গে আরও ২০ শতাংশ শুল্ক যুক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪৫ শতাংশে। এর জবাবে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) শুল্ক আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেয় চীন।
দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সব মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কের পরিমাণ ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) থেকেই কার্যকর হবে নতুন এই শুল্কহার।এদিকে ট্রাম্প বলেছেন, চীনের সাথে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য যুদ্ধ শেষ করতে চুক্তি করতে আগ্রহী। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যমের জন্য উন্মুক্ত মন্ত্রিসভার ওই বৈঠকে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, দেশগুলোর সাথে চুক্তি করতে পারলে বাণিজ্য নীতিতে আরও স্থিরতা আসবে। এ সময় ট্রাম্প বলেন, ‘চীনের সাথে চুক্তি করতে পারলে ভালো লাগবে।’